০৬ মে ২০২৪, ০৮:০৫ অপরাহ্ন, ২৬শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, সোমবার, ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স : বরগুনার আমতলীতে সেতুর প্রবেশমুখে মাঝ রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে বৈদ্যুতিক খুঁটি। খুঁটি রেখেই সেতুটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন করায় যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।আমতলী উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আইবিআরপি প্রকল্পের আওতায় দুই কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সসংলগ্ন খালে গার্ডার সেতুুটি নির্মাণ করে মেসার্স কাসেম কনস্ট্রাকশন ও মেসার্স কে কে এন্টারপ্রাইজ।
২০২২ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয়। স্থানীয় বাসিন্দা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের অভিযোগ, ঠিকাদার সেতুর প্রবেশমুখে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই সেতুটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেছেন। এতে ওই সেতু দিয়ে বড় বড় যানবাহন, বিশেষ করে বাস-ট্রাক, ট্রলি পারাপার হতে পারছে না।
আড়পাঙ্গাশিয়া গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমানসহ একাধিক এলাকাবাসী জানায়, সেতুটির প্রবেশমুখে বৈদ্যুতিক খুঁটি থাকায় যানবাহন নিয়ে চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করতে পারলেও বাস-ট্রাক সেতু পারাপার হতে পারছে না। এ কারণে তারা দ্রুত বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণের দাবি জানায়। আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সোহেলী পারভীন মালা বলেন, ‘ওই বিদ্যুতের খুঁটির কারণে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির খামখেয়ালিপনায় এমন পরিস্থিতি হয়েছে। সেতুটির কাজ সম্পন্ন করার আগেই খুঁটি সরানো উচিত ছিল। ’আমতলী উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘একাধিকবার পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে ওই বিদ্যুতের খুঁটি সরাতে বললেও তারা তা সরায়নি। বাধ্য হয়ে ঠিকাদার ওই বিদ্যুতের খুঁটি রেখে কাজ সমাপ্ত করেছেন।’
আমতলী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের সহকারী প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দিন তরফদার বলেন, ‘বহু বছর আগে থেকেই ওখানে বিদ্যুতের ওই খুঁটি রয়েছে। ওই খুঁটি সরাতে যে খরচ হবে, সেটা এলজিইডি বিভাগ বহন করে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলীর মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে চিঠি দিলে ওই খুঁটি সরানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’